এবার মরুভূমির দেশে চলবে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার গাড়ি। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন টেসলার কর্নধার ইলন মাস্ক। জ্বালানি তেলের সাম্রাজ্য এখন বৈদ্যুতিক গাড়ির দেশে পরিণত হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।টেসলা সাইবার ট্রাক আর মডেল ওয়াই সেডানের পরিবর্তিত ডিজাইনের একটি সংস্করণ দেখছেন সৌদির এক ক্রেতা। গাড়ির ভেতরে বসে দেখে নিচ্ছেন গাড়ি চালানোর পুরো বিষয়বস্তু। টেসলার সাইনবোর্ডের পাশেই রয়েছে পাম গাছগুলো। পাশেই ভিডিও স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে, ছুটে চলেছে টেসলার গাড়ি, মরুভূমি আর পাম গাছকে পেছনে ফেলে। সবকিছুই জানান দিচ্ছে, টেসলা এসেছে মরুভূমির দেশে।
সারাবিশ্বেই নতুন ক্রেতা প্রয়োজন টেসলার। সারাবিশ্বে ১৩ শতাংশ কমেছে এই প্রতিষ্ঠানের গাড়ি বিক্রি। গেলো তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্কের বিতর্কিত কার্যক্রম, প্রতিযোগিতার কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে টেসলা। এরমধ্যে বিশ্বব্যাপী ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ নিয়েও কিছুটা চিন্তায় গ্রাহকরা।মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এই দেশে এসে প্রভাব ফেলবে। তাদের অধিকার রয়েছে যা খুশি করার। আমরা ভাবি, মধ্যপ্রাচ্যে এর কি প্রভাব পড়বে।টেসলায় বড় বিনিয়োগকারীদের একটি সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পর্যায়ে বড় পদে থাকায় রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে ইলন মাস্কের। প্রথম বিদেশ যাত্রা হিসেবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সৌদি আরব সফরে যেতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টেসলা কর্তৃপক্ষ বলছে, অনলাইনে অর্ডার করে কেনা যাবে টেসলার গাড়ি। শপিং মলে রাখা হবে টেসলা স্টোর। থাকবে চার্জিং স্টেশন আর সার্ভিস সেন্টার।অনেক আনন্দিত ছিলাম ইলন মাস্কের মতো আইকনকে নিজের চোখে দেখবো বলে। কিন্তু তিনি আসলেন না। টেসলা এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক ইভেন্ট হবে।যদিও সৌদি আরবের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারজাত করে দেশটির মানুষকে অভ্যস্ত করতে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। সৌদি আরবের প্রধান পূর্ব - পশ্চিম মহাসড়কগুলোতে ৯শ' কিলোমিটার জুড়ে কোন চার্জিং স্টেশন নেই। এই রাস্তা ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর ও রাজধানী রিয়াদ এবং মক্কার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে ১০১ টি ইভি চার্জিং স্টেশন রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে ২৬১ টি। আপাতত তিনটি শহরে চার্জিং স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে টেসলা।